আখাউড়ায় মেম্বার প্রার্থীর ফেস্টুন ছেড়ার প্রতিবাদ করায় হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

মো.জুয়েল মিয়া,আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থীর ফেস্টুন ছেড়ার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক হামলা,দোকান ভাংচুর ও নগদটাকা সহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের মোগড়া-নিলাখাদ রোডে গাঙ্গাইলের ফারুকী মার্কেটের মুদি দোকানে এ হামলা হয়।হামলাকারীরা হলেন একই এলাকার শাহজাহান মিয়া,শাহ আলম,জাহাঙ্গীর মিয়া, আরমান, তুহিন,মেহেদী,রিফাত,রোকন প্রমুখ।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহ আলম ছবির বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোগড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহ আলম ছবির মিয়ার ছবিযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন বিভিন্ন স্থানে লাগানোর পর সেগুলো ছিড়ে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলে।এ ঘটনার প্রতিবাদ করার কারনে পূর্ব আক্রোশের জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানে ভাংচুর করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ছবির মিয়া বলেন,দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য রাখা ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্যাশ থেকে নিয়ে যায়।দোকানের মালামাল লুটপাট ও ভাংচুর বাবদ প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়।
এসময় বাঁধা দেয়ায় আমার দুই ছেলে রাকিব ফারুকী ও মাহবুব ফারুকীকে মারধর করে।

হামলায় আহত রাকিব ফারুকী বলেন,হামলাকারীরা সবাই মনির চেয়ারম্যানের স্বজন। আমাদের মার্কেটের যায়গাটা তাদের দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে জোরজবরদস্তি করছে এবং হুমকি দিচ্ছে।তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভয়ে সমাজের কেউ মুখ খুলতে চায় না।আপোষ করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।মোগড়া ইউনিয়নের রাজাকারের সভাপতি মজিদ চেয়ারম্যানের লোকজন,মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নোয়াব মিয়া ও তার ভাতিজা মনির চেয়ারম্যানের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,পৌরমেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির বলেন,শুনছি ছবিরের পোলাপান নিজের দোকান নিজে ভাংচুর করছে।বাপ চাচাদের সাথে গন্ডগোল করে এটা করছে।
আখাউড়া থানার এসআই নিতাই বলেন,শাহজাহানের বাড়িতে একজন কামলা ছেলে থাকে। ছবিরের ছেলে কাজের লোকটাকে থাপ্পড় মারছে।তারপর শাহ জাহান সহ আরো অনেকে এসে ছবিরের ছেলেকে চড় থাপ্পড় মারে।দোকানের মালামাল নামানো দেখছি।দোকান থেকে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে এমন সুস্পষ্ট স্বাক্ষী পায়নি।তবে বাদী বলতাছে পোস্টার ছিঁড়ার ঘটনা থেকে হামলা।অভিযোগের তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে