চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই,খুনীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

মো.জুয়েল মিয়া,আখাউড়া প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় চিনে ফেলায় জুয়েল কাজী (১৭) নামে অটোরিকশা চালককে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার ধরখার ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত জুয়েল উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর চান্দপুর গ্রামের আজিউল হক কাজীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে হানজেলা (২১) ও শাফায়েত (২৮) নামে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে আজ শনিবার বিকেলে খুনীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী ও নিহত জুয়েলের স্বজনরা।

জানা যায়,গতকাল শুক্রবার দুপুরে রুটিবাজার থেকে ছতুরাশরীফের চারটা ছেলে জুয়েলের অটোরিকশা ভাড়া করে ধরখার নিয়ে আসে।তারা নতুন পেশাধার অটো ছিনতাইকারী চক্রের লোক। ধরখার থেকে মোগড়াগামী রোডে নিয়ে নাকে মুখে ঘুষি মেরে শ্বাসরোধ করে খুন করে জুয়েলকে।পরে অটোরিকশটি শাফায়েতের দোকানের পিছনে বিল্লাল মেম্বারের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়ার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকার জানান, শুক্রবার রাতে নিহত অটোরিকশা চালকের পরিবার থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ আমাদের দেয়া হয়। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে তন্তর এলাকা থেকে হানজেলা নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জুয়েল কাজীর অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। আটক হানজেলা ও শাফায়েতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আখাউড়ার টানমান্দাইলের একটি পুকুর থেকে জুয়েল কাজীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অটোচালক জুয়েল হত্যাকাণ্ডের সাথে শাফায়েত জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,শাফায়েত এই হত্যার সাথে জড়িত না।তার দোকানে বিক্রি করতে নিছে সে কিনেনি।সাফায়েতের সহায়তায় আসামীদের শনাক্ত করেছি।চারজনের মধ্যে ছতুরাশরীফের উত্তরপাড়ার হানজেলাকে আটক করা হয়েছে।বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।অটোরিকশা ছিনতাইকালে চিনে ফেলায় জুয়েলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় হানজেলা জড়িত ছিল। অটোরিকশাটি শাফায়েতের কাছে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে