আখাউড়ায় এক বছরেই ২ লাখ টাকার বেসিন অকেজো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ২ লাখ টাকার বেসিনে সাবান-পানি নেই, এক বছরেই ব্যবহার অনুপযোগী।
মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে রক্ষার জন্য বারবার হাত ধোঁয়ার কথা বলা হলেও আখাউড়ায় সেই ব্যবস্থাগুলো প্রায় উঠেই গেছে। গতবছর মহামারির শুরুতে কিছু বেসিন স্থাপন করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা নষ্ট হয়ে গেছে। দু-একটা ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে হাত ধোয়ার জন্য আখাউড়ার জনসমাগম হয় এমন জায়গাগুলোতে গতবছর ০৮ টি বেসিন নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও এসব বেসিন নষ্ট হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।হাত ধোয়ার উপকরণও রাখা হয় না বেসিনগুলোতে।

সম্প্রতি আখাউড়ায় নির্মিত বেসিনগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও ময়লা জমে আছে, নেই হাত ধোয়ার সাবান। বেসিনে নেই পানি, জমেছে শেওলা। একই অবস্থা রেলস্টেশন জামে মসজিদের সামনে, সোনালী ব্যাংকের পার্শ্বে,মোগড়া বাজারের সামনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এসব বেসিন ব্যবহার করা হয়নি।তদারকি করার জন্য যে সকল লোক কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারাও ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

স্থনীয়রা জানান, নির্মাণের কিছুদিন সচল থাকলেও এখন বেসিনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।যার ফলে পথচারীরা এগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নির্মিত বেসিনগুলো দ্রুত সংস্কার করে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি করছেন তারা।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আখাউড়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানা জানান, আখাউড়ায় আটটি বেসিন বসানো হয়েছে। পৌরসভা কেন্দ্রিক পাঁচটি, উপজেলায় একটি, কর্নেল বাজারে একটি, মোগড়া বাজারে একটি। জনসমাগমস্থলে বেসিনগুলো বসানো হয়েছে। পৌরসভা প্রজেক্ট থেকে এগুলো সচরাচর রান করেছে এজন্য সব সময় সচল ছিল।গত প্রজেক্টে কাজ শুরু না হওয়াতে যে লোকগুলো তদারকি করত তারা বেতন-ভাতা ঠিকভাবে পাচ্ছে না বলে সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত কয়েকদিন পূর্বে তাদেরকে নিয়ে মিটিং করে বলেছি আপনারা কাজ করেন চস্যালারি পাবেন। মানুষ যাতে ব্যবহার করতে পারে। যারা তদারকি করেন তারা জানিয়েছে, নিয়মিত তারা বেসিন গুলো দেখাশোনা না করলে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানগুলো পানির লাইন অফ করে রাখে। পরিশেষে বর্তমানে বেসিন গুলো সচল রাখার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন উপ সহকারি প্রকৌশলী।

জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, আমার জানামতে আটটা বেসিন নির্মাণে ব্যয় হয় ২ লক্ষ টাকা। ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে তিনি জানান, এটা আমার জানা ছিল না। আমি খবর নিয়ে দেখবো। তদারকি যারা করে তাদের বেতন-ভাতার বিষয়ে তিনি জানান, বেতনের জন্য কাজ বন্ধ করার কথা না, তারপরেও আমি দেখছি।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে