আখাউড়া ৬ নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে হ্যাটট্রিক বিজয়ে আশাবাদী মন্তাজ মিয়া

মো.জুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে ৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন।
সব প্রার্থীরাই প্রচারণা আর নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয় করতে।পানির বোতল প্রতীক নিয়ে মন্তাজ মিয়া নির্বাচন করছেন।ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে তিনি অনেক সুনাম কামিয়েছেন।পরিবর্তনের হাওয়ায় নিজ মহল্লাসহ বংশের সকল ভোট ‘পানির বোতল’ প্রতীকে পরলে তাঁর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়নপুর-কলেজপাড়া ও রাধানগরের একাংশ নিয়ে গঠিত ৬ নং ওয়ার্ডের সমর্থকদের নিয়ে রাতদিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। ব্যক্তি ইমেজ আর জনপ্রিয়তায় শীর্ষে যেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে তার মধ্যে মন্তাজ মিয়ার পানির বোতল প্রতীকের সাথে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা ।
এদিকে ভোটাররা বলছেন,যাকে সুখে-দুঃখে কাছে পাওয়া যায় এমন সৎ, নম্র,ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবে তারা।
মন্তাজ মিয়া বলেন,বিগত দশ বছর যাবৎ ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকাকালীন সময়ে মানুষের বিপদের সময় পাশে ছিলাম। করোনাকালীন সময়ে ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি।তাদের পাশে সর্বক্ষণ ছিলাম।ভোটাররা স্বেচ্ছায় আমার জন্য কাজ করছে,ভোট দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে।মানুষের উপকার করলে, মানুষের পাশে দাঁড়ালে সময় মতো তার প্রতিদান পাওয়া যায়।আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটাররা ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।হ্যাটট্রিক বিজয় নয় বরং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলেও জানান টানা দুইবার কাউন্সিলর হওয়া এই প্রার্থী।
তিনি আরো বলেন,৬ নং ওয়ার্ড থেকে মাদক অবমুক্ত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি।
জানা যায়, ৬ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৫শত ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ২ শত ৮৬ জন এবং নারী ভোটার ২ হাজার ২শত ৮৮ জন।
‘নির্বাচনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো আখাউড়ায় ইভিএম-এ ভোট হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো.জহুরুল আলম।’

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে