করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ গুলোর মধ্যে একটি ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৪১ হাজার মানুষের। এখনো প্রতিদিন প্রায় ২শ মানুষ প্রান হারাচ্ছে। তারপরও দুঃসময় কে চোখ রাঙিয়ে ক্রিকেট আয়োজনে প্রস্তুত ক্রিকেট ইংল্যান্ড। আয়োজন করছে ক্রিকেট সিরিজ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভয় থাকা সত্বেও বিলেতের মাটিতে পা রেখেছেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়নদের এই আগমন শুধু ক্রিকেটের জন্য নয় করোনার বিরুদ্ধে মানবজাতির এক দুর্নিবার লড়াই।
ইংল্যান্ড এর মতোই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হোক এই তল্লাটে ক্রিকেট আয়োজনে মরিয়া শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড। পাশে চান বাংলাদেশকে। সিরিজ খেলতে ভারত অসম্মতি জানালেও আশার কথা জানিয়েছেন বিসিবি। বিসিবির সম্মতি থাকা সত্বেও জুলাইয়ে শ্রীলংকায় যেতে অনীহা প্রকাশ করেছে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। তাতেই ক্ষেপেছেন এক বিসিবি পরিচালক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি পরিচালক বলেন ইউরোপে চালু হচ্ছে একের পর এক ফুটবল লীগ। ইংল্যান্ড এ ক্রিকেট খেলতে এসেছে ক্যারিবিয়রা। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তার নার্সরা। ঝুকি থাকা সত্বেও মাঠে নেমে রাত দিন কাজ করছেন দেশের সেনাবাহিনি-পুলিশ। একই রকম ঝুকি নিয়ে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকাররা, বিশ্বজুড়ে কাজ করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরাও। এসব দেখেও কেন ক্রিকেটাররা হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকবেন? তাহলে কি একজন ক্রিকেটার থেকে তাদের জীবনের মূল্য কম? আক্ষেপ করেই এমন কথা বলেছেন ঐ বিসিবি পরিচালক। ঐ দুই ক্রিকেটার দেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারদের দোহাই দিলেও বাকিরা বলছে ভিন্ন কথা। তারা চান দ্রুত মাঠে ফিরতে। শ্রীলংকা সফরে তাদের আপত্তি নেই।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করেন পাঁচটি কারনে লংকা সফরে যাওয়ার যৌক্তিকতা দেখছেন তারা।
করোনা সংক্রমনে উপমহাদেশে সবচেয়ে নিরাপদ ধরা হচ্ছে শ্রীলংকাকে। পেশাদারিত্বের কথা চিন্তা করলে বিসিবির পক্ষে মত দেওয়া ক্রিকেটারদের জন্য জরুরি। ক্রিকেটারদের মাঠে খেলতে দেখলে মনোবল চাঙা হবে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের। চাইলে সফরের অর্থ করোনা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করতে পারেন। এই সিরিজ টি হতে পারে আইসিসি টুর্নামেন্ট এর জন্য প্রস্তুতির বড় মঞ্চ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত আর বুক চিতিয়ে লড়াই করা মাশরাফির মতো একজন অধিনায়কের বড্ড দরকার ছিলো এই দুঃসময়ে। বলছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।