মোঃজুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তন্তর বাজারে অবস্থিত মাতৃসেবা জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেছেন মরিয়ম বেগম( ৪২)নামে এক নারী।অভিযোগকারী মরিয়ম বেগম কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ৬ ই মে তার কন্যা সাথী আক্তার(২০)কে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় আল্ট্রা করানোর জন্য মাতৃসেবা হাসপাতলে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত সিজার করানোর পরামর্শ দেয়।
সিজার করানোর দীর্ঘক্ষণ পর রোগির জ্ঞান ফিরেছে। এমতাবস্থায় তিনদিন চিকিৎসা করানোর পর চতুর্থ দিনের মাথায় সাথী আক্তার কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ডাক্তার। মরিয়ম বেগম জানান, ডাক্তার যখন রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তখন ও রোগী ঠিক সুস্থ হয়নি। সাথী আক্তার এর মা মরিয়ম বেগম ডাক্তারকে অনুরোধ করে বলেন আরো কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু ডাক্তার তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী,রোগী সাথী আক্তার কে তার পিত্রালয় সৈয়দাবাদ এ নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাক্রমে ঐদিন রাতে রোগী অসুস্থ হলে পুনরায় মাতৃসেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তখন দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকেও রেফার করা হয়। পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করানো হয়।চিকিৎসা করানোর আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পরিপূর্ণ সুস্থ হয়নি সাথী আক্তার।সাথী আক্তারের মা মরিয়ম বেগম জানান ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা এর জন্য দায়ী।এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মাতৃসেবা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান মারুফ জানান, সাথী আক্তার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। অপারেশনে কোনো ত্রুটি হয়নি। পরবর্তীতে সে হাসপাতালে মাথা ব্যাথা নিয়ে আসলে দায়িত্বরত ডাক্তার বলেছে সে স্ট্রোক করেছে। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে তাকে রেফার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান জানান এ বিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ আমাদেরকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরোও জানান তার কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ক্লিনিকটি সরকারী অনুমোদন রয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর অঞ্জন বাবু বলেন,মামলার তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।