মোঃজুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রিয়া মনি(০৮)নামে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনার এক মাস পেড়িয়ে গেলেও সামাজিকভাবে সমাধানের আশ্বাসে ও আসামী পক্ষের লোকজনের দাপটে থানায় মামলা পর্যন্ত করতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার।
।ঠিক যেন ধর্ষকের ক্ষমতা আর দাপুটের জোরে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা।রিয়া মনির মামার বাড়ির লোকজন ও ঘটনার স্বাক্ষীগন আতংকে দিনযাপন করছেন।অভিযোগ পাওয়া যায় যে,মুকতু মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া এডভোকেট হওয়ায় দাপট দেখিয়ে আখাউড়া থানায় মামলাও দায়ের করেন ।উক্ত ঘটনার ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের অন্তর্গত হীরাপুর মিয়া বাড়ির মৃত তেতো মিয়ার ছেলে মোঃমতিউর রহমান মুকতু মিয়া(৬৫)জোরপূর্বকভাবে রিয়া মনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।রিয়া মনি হীরাপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মৃত সহিদ মিয়ার ছেলে নাছির মিয়ার(৫৫)ভাগ্নি।পিতা মারা যাওয়ার পর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে গত ৩/৪ বছর ধরে মামার বাড়িতেই থাকছে সে।সে স্থানীয় নুরপুর লামারবাড়ি সুমাইয়া মাদ্রাসায় ২য় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।গত ১৫ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় তার মামা নাছির মিয়ার ধানের চারার জমি দেখতে যায় সে।ধানের চারার জমিটা ছিল ধর্ষণ চেষ্টাকারী মুকতু মিয়ার বাড়ির সামনেই।তখন মুকতু মিয়া রিয়া মনিকে একা পেয়ে তার ছোট ভাই শফিকুর রহমানের পূর্ব ভিটির পরিত্যক্ত বারান্দায় নিয়ে যায়।পরবর্তীতে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখাইয়া মুকতু মিয়া জোরপূর্বক রিয়া মনির জামা ও হাফপ্যান্ট খুলে এবং তার নিজের লুঙ্গি খুলে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।তখন রিয়া মনির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে উভয়কে উলঙ্গ অবস্থায় পায়।তখন ধর্ষক মুকতু মিয়া উলঙ্গ অবস্থায় লুঙ্গি হাতে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা স্থানীয় সাহেব সর্দারগনদের জানাইলে তারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংশা করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ একমাস অপেক্ষার পর ও কোনো বিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।পক্ষান্তরে অভিযুক্ত মুকতু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন রিয়া মনির মামার বাড়ির লোকজনকে নীরিহ পেয়ে অনবরত হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।অবশেষে গত ১৭ আগস্ট উপায়ান্তর না পেয়ে রিয়া মনির মামা নাছির মিয়া বাদী হয়ে মুকতু মিয়াকে(৬৫) আসামী করে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে হীরাপুর গ্রামের মেম্বার আয়েত আলী বলেন,২ দিন হলো আমি শুনেছি মিলন নাকি তার বাবা মুকতু মিয়াকে মাসুম মন্দ কথা বলায় থানায় দরখাস্ত দিছে ।ধর্ষণের ঘটনাটি আমি মিলনের মামলার পরেরদিন শুনেছি।কোনোপক্ষই আমাকে ঘটনাটি আগে জানায়নি।যেহেতু এটা এলাকার ব্যাপার তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম আপোষ করার।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমেদ নিজামী বলেন,অন্যরা মুকতু মিয়াকে মারধর করেছে এটার বিরুদ্ধে তার ছেলে মিলন মিয়া মামলা দিয়েছে ।ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তো সাথে সাথে জানাইবে।একজন অভিযোগ দেয়ার পর যদি তারা(রিয়া মনির পরিবারের লোকজন) এসে বলে তখন কি এটার গুরুত্ব থাকে।এতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।এখন এটা তদন্ত করে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার এসআই হাবিব বলেন,মুকতু মিয়ার ছেলে এডভোকেট মিলন মিয়া তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে উল্লেখ করে গত ১৩ আগস্ট থানায় অভিযোগ দিয়েছিল।ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে জানলাম কোনো মারামারি হয়নি। উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে।এখন ধর্ষণ চেষ্টাকারী মুকতু মিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার এফআইআর করা হোক তারপর ব্যবস্থা নেব।