মোঃজুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের সড়কবাজারে অবস্থিত দরদী ফার্মেসী ও সরকার ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রি করছিল দোকানদাররা।এমন খবরের প্রেক্ষিতে বুধবার(২সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ফার্মেসী দুটিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব ১৪ ভৈরব ক্যাম্পের এএসপি ও স্পট কমান্ডার মোহাম্মদ বেলায়েত হুসাইন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস দল।অভিযানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ঔষধগুলো জব্দ করে ৩ জনকে আটক করা হয়।বিক্রির জন্য ঔষুধ প্রশাসনের অনুমোদনবিহীন কয়েক ধরনের ঔষধ সংরক্ষণ এবং বিক্রির অভিযোগে আটককৃতরা হলেন দরদী ফার্মেসীর সত্বাধিকারী সড়কবাজারের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ,দরদী ফার্মেসীর কর্মচারী দূর্গাপুর গ্রামের ঝুটন দাস এবং সরকার ফার্মেসীর কর্মচারী নয়াদিল গ্রামের মোঃ সালমান।
ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন অভিযোগ করে বলেন,আখাউড়ার প্রায় সবগুলো ফার্মেসীতেই এমন অনুমোদনবিহীন ঔষধ বিক্রি হয়।ঔষধের দাম যে কখন কতগুণ বৃদ্ধি করে ফেলে তার হিসাব নাই।যে যেইভাবে পারতেছে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে।এভাবে যদি প্রশাসন কয়েকদিন পরপর অভিযান চালায় তাহলে ফার্মেসীর প্রতারণার লাগাম টেনে ধরা যাবে।
এ বিষয়ে এ এসপি ও স্পট কমান্ডার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন জানান,এখানে আমরা যেই ঔষধগুলো অনুসন্ধান করে বের করেছি তার মধ্যে কয়েকটা আছে মাদকজাতীয় ইয়াবার মতোই ক্ষতিকর ।সাধারণ জনগনকে ঠকিয়ে তারা অনেকগুন বেশি দামে কিছু অনুমোদনবিহীন ঔষধ বিক্রি করছে। এভাবে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রি করা প্রতারণার শামিল।মূলত যারা এমন নেশাজাতীয় দ্রব্য খায় তারাই চুরি, ছিনতাই সহ নানান অপকর্মে লিপ্ত থাকে।আটককৃত ৩ জনকে ভৈরব র্যাব ১৪ অফিসে নিয়ে যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ শেষে তাদের বিরুদ্ধেে মামলা দিয়ে থানায় প্রেরণ করা হবে। ভবিষ্যতেও র্যাবের এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ করা এবং অনুমোদনবিহীন অবৈধ ঔষধ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি