মোঃজুয়েল মিয়া,আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,শুক্রবার দিবাগত রাত ৮ টার পর মা বাবার সাথে রাগ করে বের হয়ে যায় ঐ মাদ্রাসা ছাত্রী।ঘর থেকে বের হয়ে মোগড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত খলাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়া নামে দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সে।রাত প্রায় ৯ টার সময় জিয়ার হোসেন(৩৫) ও ইব্রাহিম প্রকাশ অপু(২০) নামে ২ জন পিছু নেয় তার।কিছু বুঝে উঠার আগেই খলাপাড়া মধ্যপাড়া জনৈক আল আমিন মিয়ার বাড়ির সামনে কালভার্টের উপর নারিকেল গাছের নিচে নিয়ে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণ করে তাকে।ভুক্তভোগী বলেন,অপু আমার মুখে চাপ দিয়ে ধরে রাখে এবং জিয়ার হোসেন আমাকে ধর্ষণ করে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর আমাকে নিয়ে এক ঘণ্টা যাবৎ রাস্তা দিয়ে ঘুরাঘুরি করে তারা।ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় বারবার। রাত ১২ টার সময় অপুর বাড়িতে আমাকে রেখে জিয়ার হোসেন তার বাড়িতে চলে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত জিয়ার হোসেনের সহযোগী ইব্রাহিম প্রকাশ অপু(২০)কে গ্রেফতার করে।অভিযুক্ত জিয়ার হোসেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের মৃত হেলু মিয়ার ছেলে এবং ধর্ষণের সহযোগী ইব্রাহিম প্রকাশ অপু একই গ্রামের আব্দুর নুর মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ঐ মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার এসআই নিতাই বলেন,ধর্ষণের শিকার মেয়েটির সাথে অপুর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এর আগেও অনেকবার মেয়েটির সাথে অপু নামে ছেলেটি শারিরীক সম্পর্ক করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারছি।বাঁকিটা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হতে পারবো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহম্মেদ নিজামী বলেন,অভিযুক্ত জিয়ার হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।