মো.জুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নিজ বসতবাড়ির জায়গা দখলবাজদের কাছ থেকে ফিরে পেতে ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় পৌরসভার রাধানগর গ্রামে মৃত রাখাল বণিকের ছেলে সিপন বণিক ও মৃত গোপাল বণিকের ছেলে রিপন বণিক তাদের নিজ বসত বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলে লিখিত বক্তব্যে সিপন বণিক বলেন,প্রায় ২০ বছর যাবৎ বসতবাড়ি নিয়ে মামলা পরিচালনা করে আসতেছি। ২০০৩ ইং সালে ১৮.১৮ শতক জমির মালিক হিসেবে আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।দীর্ঘ ৮ বছর নিরবতা শেষে হয়রানীর উদ্দেশ্যে পুনরায় পংকু সাহা গংদের নিয়ে ২য় দফায় একই ভূমির উপর মামলা আনয়ন করেন যাহা নিষ্পত্তি হয় ২০১৮ সালের ৩১ শে জুলাই। এরপর জমাখারিজের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে আবেদন করার পর ঐ জমাখারিজ আটকানোর জন্য বিল্লাল মিয়া ও তাজুল ইসলামের পরামর্শে ৩য় দফায় তারা ভারতে বসবাসরত কৃষাণ সাহার নাম সংযোজন পূর্বক বাদী হইয়া মামলা দিলে খারিজটির কার্যাক্রম বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২০ শে ফেব্রুয়ারি আদালত উভয়পক্ষের দলিলপত্র(মালিকানা)পর্যালোচনা করে ২০০১ ইং সনের ১৪৫ নং মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বহাল রাখিয়া দেওয়ানী ৯০/১৯ ইং মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি করেন।রায়ে বিচলিত হইয়া অবৈধ দখলদার বিল্লাল ও তাজুল ইসলাম তিন তিন বারের প্রাপ্ত রায়কৃত বসতবাড়িতে বসবাস করিতে দিবেনা ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।বর্তমানে মাত্র ৩.৬৭ শতক যায়গা আমাদের দখলে আছে।বাঁকি প্রায় ১৫ শতক যায়গা তাজুল ইসলাম ও বিল্লাল গং জোর করে অবৈধভাবে দখল করে রাখছে।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ওই জায়গায় এলোমেলো ঘর নির্মাণসহ সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজে হিন্দু -বৌদ্ধ -খ্রিস্টান ঐক্য জোটের আখাউড়া কমিটির সভাপতি বিধান দাস ও সাধারণ সম্পাদক চন্দন ঘোষ অনুপ্রেরণা দিচ্ছে বলে ও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সিপন বণিক।যায়গার দাবি ছাড়িয়া ভারতে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে ও জানান তিনি।এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,মাননীয় আইনমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নিজ বসতবাড়ি উদ্ধারের দাবি আদায় না হলে আগামী শুক্র,শনি ও রবিবার ১ ঘণ্টা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা এবং তাতে ও দাবি আদায় না হলে আগামী সোমবার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করবে বলে ও জানান তিনি। তাতেও দাবি আদায় না হলে সর্বশেষে আগামী মঙ্গলবার পরিবারের সকল সদস্য আগরতলার বর্ডারে হাজির হয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিকট জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করে ভারত কর্তৃপক্ষের নিকট আশ্রয়ের প্রার্থনা করার কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা।
অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,১৯৬৭ সালে ইউনুস মিয়ার কাছ থেকে আমার বাবা ২৫ শতক জায়গা কিনেছিল।পৈত্রিক সূত্রে এখন আমরা এই যায়গার মালিক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য জোটের আখাউড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি যতটুকু জানি সিপন বণিক ও রিপন বণিকের বাপ দাদাদের নিজস্ব কোনো জায়গা এখানে ছিল না।তারা জহর লাল সাহার বাবার আশ্রিত হিসেবে এখানে থাকতো।