ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপার অভিযোগ

মো.জুয়েল মিয়া,আখাউড়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের লামার বাড়ীর মোঃ মুসা মিয়ার মেয়ে সিমা বেগম(১৮)। ছয়মাস আগে সদর উপজেলার কাছাইট এলাকার মৃত সফিক মিয়ার পুত্র মোঃ আপন মিয়ার সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় তার।মেহেদীর রং শেষ হওয়ার আগেই যৌতুকের জন্য শুরু হয় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন।স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাবার বাড়ি চলে আসে সে।প্রায় ২ মাস পর যৌতুকের জন্য আর নির্যাতন করবেনা বলে আশ্বস্ত করে বউকে বাড়িতে নিয়ে যায় আপন।ওইদিন রাত আনুমানিক ৯ টায় সিমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সিমার পরিবারের সদস্যদের দাবি।এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ সিমার বড় ভাই ইয়াছিন বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াছিন বলেন,যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সিমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে সিমার স্বামী আপন ও তার পরিবারের লোকজন।


খুনী আপন বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমাকে খুন করে সংসার চালানোর একমাত্র মাধ্যম অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার অনবরত হুমকি দিচ্ছে।এমতাবস্থায় সরকার ও প্রশাসনের কাছে জানমালের নিরাপত্তাসহ বোনের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।নিহত সিমার চাচাতো ভাই মোঃনেয়ামত উল্লাহ জানান,সিমার পরিবার গরীব ও অসহায় হওয়ায় কিছু যৌতুক দেয়া হয়।পরে সিমা কে গত ২ মাস আগে আরো যৌতুকের দাবিতে আখাউড়ায় বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার স্বামী।৫ বোন ও ১ ভাইয়ের অভাবের সংসার তাদের।মা নেই,বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র আলাদা থাকে।সিমার বড় বোন বিদেশে থাকে।সে যৌতুক দেওয়ার আশ্বাস দিলে সিমা কে তার স্বামী আপন গত ৭ ডিসেম্বর তার বাড়িতে নিয়ে যায়।সেদিন রাত সাড়ে আটটায় ফোন দিয়ে সদর হাসপাতালে যেতে বলে।হাসপাতালে সিমার লাশ ফেলে আপন ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।সিমার মাথা,গলা ও গালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।সরকার ও প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার দাবি করছি।এ দিকে ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলে ও এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয়রা।প্রশাসনকে মেনেজ করেই আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে এবং বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার সাহস পাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মোঃ আঃ রহিম জানান,ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর গৃহবধূ সিমা হত্যার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে