নৌকা নিয়ে হ্যাটট্রিক বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আখাউড়ার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল

আখাউড়ায় পৌরসভা নির্বাচনঃ
নৌকার প্রচারণায় ঈদের আমেজ,বিএনপির অন্তঃকোন্দলে নিস্তেজ ধানের শীষ

মো জুয়েল মিয়া,আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
বর্তমান সময়ে সোনার হরিণ বলে খ্যাত নৌকা প্রতীক নিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ভোটারদের কাছে ছুটে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত তাকজিল খলিফা কাজল।ব্যক্তি ইমেজ এবং মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আশীর্বাদের জন্য কসবা-আখাউড়ার সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন নৌকার এই মেয়র প্রার্থীর বিজয়ের জন্য।দলের বাহিরের অনেক সাধারণ জনগণের মধ্যে ও ব্যাপক আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত অবধি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটে যাচ্ছেন মেয়রপ্রার্থী কাজল।ভোটারদের কাছে ছুটে যাওয়ার সময় তার শরীরে কোনো ক্লান্তি দেখা যায়নি।এসময় তার শত শত নেতাকর্মীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা জনসংযোগে অংশগ্রহণ করে। ভোটারদের নিকট দোয়া ও ভোট কামনা করেন তারা।জয়ের ব্যাপারে প্রায় শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তাকজিল খলিফা কাজল বলেন,আমি মেয়র থাকাকালীন পৌরসভাকে বি-গ্রেড থেকে এ-গ্রেড পৌরসভায় উন্নীত করেছি। পাড়ায় পাড়ায় রাস্তা ও ড্রেন হয়েছে। অসহায় লোকজন পেয়েছেন বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড। দেয়া হয়েছে মাতৃত্বকালীন ভাতা। বিশেষ করে শহরের সড়কে রাতে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। পৌরবাসী পেয়েছেন সুন্দর আধুনিক পৌর শহর। জমির মূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। জলাবদ্ধতা কমেছে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে। মেয়র হিসেবে করোনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। পৌরবাসীর ঘরে-ঘরে পৌঁছে দিয়েছি চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এখন ১কোটি ২০লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ চলমান রয়েছে।কালন্দী খাল উদ্ধার করে যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেব।পৌরমার্কেটের কাজ সম্পন্ন হলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে বলে ও জানান তিনি।

এদিকে কমিটি গঠন নিয়ে আখাউড়ায় বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।যার কারনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে তেমন একটা আমেজ ও অংশগ্রহণ দেখা যায়নি নেতাকর্মীদের মাঝে।বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু বলেন, ভোটাররা যদি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারেন তাহলে আমি নিশ্চয় জয় লাভ করব।

অন্যদিকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোবাইল প্রতীক নিয়ে সফিকুল ইসলাম এবং নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নুরুল হক ভূঁইয়া।

প্রচারণায় থেমে নেই কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। সবাই নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন।

এ বিষয়ে আখাউড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ জহুরুল আলম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে আখাউড়া পৌর নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। আশা করি সকল ধরনের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন প্রার্থীরা।

উল্লেখ, আগামী ১৪ ফেব্রয়ারী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আখাউড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে পুরুষ ৩৮ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।আখাউড়া পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৪ হাজার ৬৭৯ ও পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ২৩১ জন। ৯ ওয়ার্ডে ১১টি কেন্দ্র মধ্যে দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে