মো.জুয়েল মিয়া,আখাউড়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের চেকপোস্ট সংলগ্ন কালিকাপুর অংশে সরকারি খালের কিছু অংশ দখল করে মার্কেট গড়ে তুলেছেন এক যুবলীগ নেতা। ব্রিজের রেলিং ভেঙে রাস্তা তৈরির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খালের প্রায় ৩০ ফিট জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তিনি। আলোচিত ওই যুবলীগ নেতা হলেন আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইদন মিয়া।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল (জাজির খাল নামে পরিচিত) এটি। এ অঞ্চলে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখতে হলে খাল দখল মুক্ত রাখতে হবে। যদি খালটি দখলমুক্ত না করা যায় তাহলে বন্যার সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন বিষয়টি জানার পরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রাও তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইদন মিয়া বলেন, আমি ২০ বছর যাবত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। সরকারি খাল যদি আমার বিল্ডিংয়ে থাকে আমি নিজেই ভেঙ্গে দিব। সরকার ব্রিজ করেছে কিন্তু একোয়ার করে ব্রিজ করে নাই। আমার জায়গার মধ্যে ব্রিজ করেছে। আমি চেকপোস্টের ভাবমূর্তি সৌন্দর্যের জন্য রিটার্নিং ওয়াল করেছি। বিল্ডিং ও আমার জায়গায়। রিটার্নিং ওয়াল করতে গিয়ে হয়তো একটু কোণা বাড়ছে। এতে করে জনগণের অসুবিধা হবে বলে মনে করি না। ব্রীজের রেলিং আমি ভাঙ্গি নাই, ভেঙেছে ট্রলি। আমি এটা ঠিক করতে চেয়েছিলাম। সরকারি জিনিস পরে বাঁধা এসেছে তাই আমি এটা ঠিক করিনাই।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশে খালে অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে ব্যক্তি দাবি করেছে তার নিজের জায়গা। ভূমি অফিসের মাধ্যমে তার কাগজপত্র যাচাই এর ব্যবস্থা নিয়েছে। আর যদি সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা করা হয়ে থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উচ্ছেদ করার জন্য ব্যবস্থা নিব। ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এটা রোডস এন্ড হাইওয়ের জায়গা। তারা যদি আমাদেরকে বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।