সিজিপিএ ৪ পাওয়া আঁখিনুর উচ্চ শিক্ষার জন্য আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা


মোঃজুয়েল মিয়াঃ

কারিগরি বোর্ডের অধিনে ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচারে গত ২৭মে প্রকাশিত রেজাল্টে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রেজাল্ট সিজিপিএ চার পেয়ে উত্তীর্ণ ।এতো ভাল রেজাল্ট করেও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আশংকায় মেধাবী ছাত্রী আঁখিনুর।সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঝিকুটিয়া গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে। তার বাবা তিন বছর আগে মারা গেছেন। দুই বোন শারীরিক প্রতিবন্ধি। অনেক চড়ায় উৎরাই পেরিয়ে টিউশনি করে এটুকু লেখাপড়া করেছে সে। একবছরের একটি সন্তান ও রয়েছে তার।ঋণগ্রস্থ স্বামী ও তার  পরিবারের পক্ষে উচ্চতর শিক্ষার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছেনা।
তার মা রেনুয়ারা বেগম বলেন,আমার মেয়েটা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে।সে আরো উপরের লেভেলে পড়তে চাই।মেয়ের লেখাপড়ার খরচের জন্য সমাজের বিত্তবান ও স্থানীয় সাংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহযোগীতা কামনা করছি।
আখিঁনুর বলেন, আমি কৃষি ইনষ্টিটিউট হোমনা কুমিল্লা থেকে ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্রী।কারিগরি বোর্ডের অধিনে ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচারে গত ২৭মে প্রকাশিত রেজাল্টে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রেজাল্ট সিজিপিএ ফোর পেয়েছি।আমাকে এখান পর্যন্ত আসতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। দৈনিক ছয় থেকে আটটি টিউশনি করেছি।আমার উচ্চতর পড়াশুনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।এখন আমার যে অবস্থা আমার পক্ষে উচ্চতর পড়াশুনা করা সম্ভব নয়।এ অবস্থায় আমি গুণীজন,যারা সমাজে ভাল অবস্থানে আছেন, এলাকার সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় সহযোগীতা কামনা করছি। মানবিক সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন আঁখিনুরের নাম্বার ০১৭০১-০৬৭৭৩৬। 
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ-আলম জানান,মেধাবী ছাত্রী আঁখিনুর পারিবারিক অভাব অনটনের মাঝে এতটুকু এসেছে।তার দুটি বোন যদি প্রতিবন্ধি হয়ে থাকে তাদেরকে প্রতিবন্ধি ভাতা দেয়ার চেষ্টা করব। মহিলা বিষয়ক এবং যুব উন্নয়নের মাধ্যমে তাকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে