জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দলিত,হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়কে দেয়া সরকারী ভাতার টাকা থেকে জনপ্রতি এক হাজার টাকা করে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মেম্বারের বিরুদ্ধে।উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মোগড়া গ্রামের মনিরুল হক মনু মেম্বারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।মেম্বারের হুমকির ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।উল্লেখ্য যে,সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে পরিচালিত সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই ভাতা দেওয়া হয়।
মোগড়া বাজারের পাশের বাসিন্দা মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে ভুক্তভোগী চন্দন দাস বলেন,আমি একজন গরীব রিকশাচালক।এক হাজার টাকা করে নিছে আমাদের কাছ থেকে।মনু মেম্বার কইছে চইল্লা থাকে এই টাকায়।গত রোজার ঈদের চার পাঁচদিন আগে আমরা ১৯ জন গেছিলাম আখাউড়া সোনালী ব্যাংকে হরিজন ভাতার টাকা তুলতে।ছয় হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উঠানোর পর ব্যাংক থেকে নাইম্মা ১ হাজার টাকা করে নিয়ে নিছে। আমার সামনেই সবার থেইকা এই টাকা নিছে।এর আগে ৪শ ৫শ করে নিছে।
মোগড়া গ্রামের মৃত মনা রবি দাসের স্ত্রী কুসুমী রবি দাস নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন,ছয় হাজার টাকা দিছে যে, ছয় হাজার টাকা থেইক্কা এক হাজার টাকা মেম্বরে রাইখা দিছে আখাউড়া সোনালী ব্যাংক থেকে।আমার সামনে দশ জনের কাছ থেকে রাখছে।রাখার পর কই আমার খরচা গেছে অনেক।এর আগেও ২শ ৫শ ৩শ টাকা করে নিছে।দশ বছর ধরে হরিজন ভাতা পাচ্ছি।
একই এলাকার বাসিন্দা বাসমতী দাস বলেন,তুইল্লা দিছে এল্লাইগ্গা নিছে।মেম্বরে কই আমারে দেওন লাগবো।কইছে দৌড়াদৌড়ি মেহনত টেহনত কইরা দিমু আমারে এক হাজার টাকা দে।অন্য সময় অতলা টাহা নিছে না, ১শ ২শ নিছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মনিরুল হক মনু মেম্বার বলেন,পূর্বশত্রুতার কিছু লোক আছে যারা আমাকে অপবাদ দিতে এগুলো করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন,আমি সব মেম্বারকে বলে দিছি কারও কাছ থেকে এক কাপ চা ও না খেতে। এর পরেও যদি কোনো মেম্বার ওদের কাছ থেকে এক হাজার করে খেয়ে থাকে এটার বিরুদ্ধে একশন নেওয়া উচিত। খরচের কোনো টাকা লাগেনা, শেখ হাসিনা বিনামূল্যে ভাতা দিতাছে সবাইকে।
এবিষয়ে আখাউড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফসানা পারভীন বলেন,মেম্বারের দূর্নীতির বিষয়টা জানতে পারছি।কোনো ভুক্তভোগী লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ দিলে ইউএনও সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেব।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-আলম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে খবর নেয়ার চেষ্টা করবো।