জুয়েল মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
কাতার নেওয়ার কথা বলে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে কাউছার নামে এক প্রতারক। প্রতারক কাউছার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে।
উপজেলার আজমপুরের চাঁনপুর গ্রামের জাহার মিয়ার ছেলে ভুক্তভোগী জুনায়েদ হোসেন বলেন,কাউছার কাতার নেওয়ার কথা বলে ১৮ হাজার কাতারী রিয়াল যা বাংলা ৪ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ১২/০১/২০১৮ ইং যেই ভূয়া ভিসা দিয়েছিল তা কেনসেল হয়ে যায়। এরপর গত ০১/০৮ /২০১৮ ইং স্থানীয় কাতার প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে শালিশে সিদ্ধান্ত হয় দুই মাস পর অর্থাৎ ০১/১০/২০১৮ ইং সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দিবে। অথচ প্রায় তিন বছর হয়ে যাচ্ছে প্রতারক কাউছার টাকা ফেরত দিচ্ছেনা।কাউছারের বাবা ও নানা রকম তালবাহানা শুরু করেছে।কাউছারকে গ্রেফতার করে উপর্যুক্ত শাস্তি দেয়া এবং পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।কাউছারকে অতিসত্বর আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
মোহাম্মদ হোসেন,ইউছুফ মিয়া,সোহাগ মিয়া,জনি চৌধুরি, সারুফুল হুদা,জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চুক্তি নামায় কাউছার অঙ্গীকার করে বলেন,উক্ত সময়ের মধ্যে ভিসা গ্রহীতাকে কাতারে রিয়াল পরিশোধ করিব,যদি কোন ভাবে কাতারে রিয়াল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমার বাবা মোঃআব্দুল আজিজ দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে ভিসা গ্রহীতার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করলে ভিসা গ্রহীতা আমার বিরুদ্ধে কাতার অথবা বাংলাদেশে যে কোন আইন আদালত গ্রহণ করতে পারবে।
শনিবার(জুন ১২) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,কাতারে নেওয়ার লোভ দেখিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কাউছার।আদমপুর গ্রামের নুরুল আমিন,গাজিউর রহমান, কালাম মেম্বারসহ আরও অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কাউছার কাতার নেওয়ার কথা বলে জুনায়েদ সহ আরও অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এখন সে পলাতক আছে। তাকে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা খুঁজতেছে।
কাউছারের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী জানান,কাউছার পরিবারের সাথে খোঁজখবর রাখেনা।তবে ভুক্তভোগী লোকজনের দাবি কাউছার বাবা, স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে।