আখাউড়ার মালদারপাড়া বাসীর প্রাণের দাবি ১০ফুট চওড়া রাস্তা বাস্তবায়নের পথে

মোঃজুয়েল মিয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্র মালদারপাড়ায় হচ্ছে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা।
মঙ্গলবার(৯জুন)সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মালদারপাড়ার মায়াবী সিনেমা হলের পশ্চিম পাশ থেকে উত্তর দিকে নাসরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের যায়গা এলাকাবাসীর নিজ উদ্দ্যোগে খালি করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভা সূত্র জানায়, রাস্তা প্রসস্থ করতে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মালদার পাড়ার রাস্তাটি প্রসস্থ করার কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু রাস্তা আগেই প্রসস্থ করা হয়েছে।বাঁকি কাজটা শেষ করতে কিছু বাড়ি ও দেওয়ালের জন্য শেষ করা যাচ্ছিল না। তাই মালদারপাড়াবাসী নিজেদের উদ্যোগে বাড়ি ও দেওয়াল গুলি ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছে।

এ বিষয়ে মালদার পাড়ার বাসিন্দা ফজু মালদার, জামাল ভুঁইয়া, জুয়েল মিয়া,হারুন মিয়া,মামুন মিয়া,শামিম মালদার সহ আরো অনেকে জানান, আমাদের দীর্ঘদিনের রাস্তার এই সমস্যাটার কথা জানিয়ে আমরা মালদারপাড়াবাসী পৌরসভায় রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আবেদন করি। আমাদের পৌর মেয়র সাহেব উদ্যোগ নিয়েছে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য।আমরা এলাকাবাসী মেয়র সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আখাউড়া পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ জানান, এলাকার মানুষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই এলাকার রাস্তাটি প্রসস্থ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১১০ ফুট রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বাঁকিটার জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাইকে নোটিশ দেওয়ার পর এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাড়ি ও দেওয়াল ভেঙ্গে জায়গা করে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া পৌর মেয়র মোঃতাকজিল খলিফা কাজল বলেন,”মালদারপাড়া বাসীর প্রাণের দাবি আজ বাস্তবায়নের পথে।
পৌর এলাকার মালদারপাড়ায় রাস্তা বর্ধিতকরণে এলাকাবাসীর স্বত:স্ফূর্ততায় অামি অভিভূত। পৌরসভার অাহবানে সাড়া দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে ঘর এবং দেয়ালের অংশ ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণের জন্য জায়গা বের করে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন
তাদের দেয়ালের অংশ ভেঙ্গে ফেলেছেন। অনেকে অাবার দেয়ালের পেছনে দেয়াল নির্মাণ করছেন। সেটা প্রস্তুত হলেই ভেঙ্গে ফেলবেন সামনের দেয়াল। বাকিরাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জেনেছি। তাদের কাজ শেষ হলেই ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মানে হাত দিবে পৌরসভা। অবসান হবে জনদুর্ভোগের। বলে রাখা ভালো সরু রাস্তার ফলে অাগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কিংবা জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারতোনা পাড়াটিতে। বিয়ে হলে বরকে নিতে হয় রিক্সা কিংবা হেঁটে। এমন অবস্থায় এলাকার সচেতন বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাস্তা বর্ধিতকরণের অাবেদন করে পৌরসভায়।”

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে