আমাদের পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ অবধি চলতে থাকে রাজনৈতিক আলোচনা। এমন কি বাদ যায় না গলির মাথা এক জায়গায় বসে গাঁঞ্জা টানা ছেলেগুলোও। কি ভাবছেন খুব ইতিবাচক আলোচনা চলে সেখানে? না মশাই এ বাংলায় ও সব ইতিবাচক আলোচনার দরকার নেই। আলোচনা চলে রাজনীতি কতটা খারাপ সেই বিশ্লেষণ করে এবং শেষ হয় রাজনীতি থেকে আমাদের কতটা দূরে থাকা উচিৎ তা দিয়ে।
বিগত ৪৮ বছর যাবত বাঙালি দুইটি দলের কাছে জিম্মি। যেন এই দুই দলের কাছে বাঙালি দেশ লীজ রেখেছে যুগের পর যুগ। দলটির একটি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ অন্যটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এরাই বাঙালির মাথায় ঢুকিয়েছে রাজনীতি কতটা খারাপ এবং এটা কোন ভালো পরিবারের মানুষের কাজ নয়। আর এগুলোই আমাদের অবিভাবকগন পুশ করেছেন আমাদের মস্তিষ্কে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন শিশুকে ছোটবেলা থেকে রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক আলোচনা শুনতে শুনতে বড় হতে হয় এবং তরুণ বয়সে এসে সে উপলব্ধি করে রাজনীতি থেকে তার কতটা দূরে থাকা উচিৎ। রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা তো দূরের কথা সেই তরুণের মধ্যে বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক সচেতনতাবোধ ও তৈরি হয় না।
এ দায় আসলে কাকে দিবেন? এ দায় আমাদের। কারণ আমরা বাঙালিরা শিক্ষিত হয়েছি বটে কিন্তু নিজের মস্তিষ্ক কে ব্যবহার করে অন্যের চালটি ধরতে শিখিনি এখনো।
একটি উদাহরন দেই। আমি খুলনা শাখার একজন দায়িত্বশীল সদস্য হবার জন্য মাঝে মাঝেই আমাকে বিভিন্ন মিটিং ডাকতে হয়। বিশ্বাস করেন প্রত্যেকবার মিটিং ডাকার সময় একটা চিন্তাই মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়, “কোথায় বসবো সবাইকে নিয়ে”?
তরুনদের সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করার জন্য তো কোন জায়গা রাখা হয়নি। সে সুযোগ তো তাদের দেয়নি বিগত ক্ষমতাসীনরা। সুস্থ ধারার মানুষ সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে কি করে? তরুন সমাজ দেশ নিয়ে ভাববে কি করে? সে জায়গাগুলো তো নষ্ট করে দেয়া হয়েছে সিস্টেম এবং উন্নয়নের নামে।
মাথায় কিছু ঢুকছে মশাই?
“মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই রাজনীতি প্রিয় প্রাণী” – এরিস্টটল বলে গেছেন। এ জন্যেই হয়তো আমরা বিপ্লবীদের ছন্নছাড়া হতে দেখেছি!
রাজনীতি আসলে কি?
রাজনীতি যার ইংরেজি শব্দ হলো “Politics”। শব্দটি গ্রীক শব্দ “Politiká থেকে উদ্ভুত। সরল ভাষায় এর অর্থ নগর বিষয়ক নীতিমালা বা বিষয়।
অর্থাৎ মানুষ কর্তৃক পরিচালিত হয় রাষ্ট্র এবং যা সমাজের মানুষের মাঝে আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করে ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে। আরো সহজ ভাষায় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে সকল নীতির প্রয়োজন, সেই নীতিগুলোই হল রাজনীতি। আর এই নীতি প্রনোয়ন করতে পারে একটি নির্দিষ্ট সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ।
তাহলে রাজনীতি কি করে ভদ্র পরিবারের সন্তানদের চিন্তার বিষয় নয় প্রশ্ন রাখলাম আপনাদের কাছেই।
লিখেছেনঃতামান্না ফেরদৌস শিখা
যুগ্ম আহ্বায়ক
ছাত্র অধিকার পরিষদ, খুলনা মহানগর।
সমন্বয়ক
যুব অধিকার পরিষদ, খুলনা বিভাগ।
অনেক গুরুত্বপূর্ন বাস্তব কথা লিখেছেন ,, ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমি নুরুল হক নুর। ভাইয়ের আনেক ফ্যান উনি আগামী দিনের পথচলা এই Genaration এর জন্য।তাই ভাইকে আর এগিয়ে জেতে হবে।আমরা আছি ওনার সাথে। এমনকি আমি থাকতে চাই।