নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শ্বশুর বাড়ীতে ডেকে নিয়ে জামাই আরশেদ আলী হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ মধুপুর উপজেলা শাখা। বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরে হত্যা কান্ডে জড়িত আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান সমন্বিত প্ল্যাকার্ড বহন করে প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, মধুপুর উপজেলা শাখার নেতাকর্মী একরামুল খান অনিক,আরিফ,কামাল,রোহান সহ আরো অনেকে এবং ঘাটাইল উপজেলা শাখার মো:রাকিব,আরিফ প্রমূখ।
গত ১৭ মে আরশেদ হত্যার পর থেকেই নিহতের পরিবারসহ এর বিচারের দাবীতে বিভিন্ন মহল দাবী জানিয়ে আসছে। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমেছে বিচারের দাবীতে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) এলাকাবাসী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ এর উদ্যোগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত আরশেদ আলীর মা মাজেদা বেগম, নিহতের ভাই মামলার বাদী মিজানুর রহমান, সুরুজ আলী, শিক্ষক অবু জাফর মিয়া, শিক্ষার্থী প্রমূখ।
বক্তারা হত্যাকান্ডের ৪৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উক্ত মানববন্ধন এ আরশেদ এর বড় ভাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর সঠিক বিচার দাবি করে তা না হলে পরবর্তীতে বড় ধরণের প্রতিবাদ এর হুশিয়ারি দেন। বক্তরা আরও বলেন, মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্ত্রী রেহেনা পারভীন ও তার দুলাভাই আব্বাস আলীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সোমবার মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের থলবাড়ী গ্রামের শ্বশুর বাড়ীর সুপারি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আরশেদ আলী (৩২) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। স্ত্রী রেহেনা পারভীনের অসুস্থতার কথা বলে গত ১৭ মে রোববার শ্বশুর বাড়ীতে ডেকে নিয়ে আরশেদ আলীকে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে শ্বশুর বাড়ীর পশ্চিম পাশে সুপারি গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়ায় নিহত আরশেদ আলীর ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২৪ জুন বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী রেহেনা পারভীন, দুলাভাই আব্বাস আলী, শ্বশুর আবুল হোসেন ও শ্যালক স্বপনসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।