ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রামের আলী আফজাল খান শিমুল ১৮ মাসের বিদ্যু বিল পরিশোধ করেনা।২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তার দুটি বাণিজ্যিক মিটারে ১৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ মোট ৯৭ হাজার ৫৮২ টাকা বকেয়া রয়েছে।যার ফলে তার ২ টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তিনি বকেয়া পরিশোধ না করে সার্ভিস তার ছিদ্র করে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি দোকানঘর ও দোকানের সাথে সংযুক্ত গ্যারেজে ৫/৬টি অটোরিকসা চার্জ করে আসিতেছে। যা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী অবৈধ।
শুক্রবার(৩রা জুলাই)দুপুরে আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে সার্ভিস তার ছিদ্র করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সময় হাতেনাতে ধরেছে তাকে।
এ বিষয়ে আখাউড়া পল্লী বিদ্যু জোনাল অফিস জানায়,আফজাল খান শিমুলের দুইটি বাণিজ্যিক মিটার আছে। যার হিসাব নং ৩০৯-৫০১০ এ নভেম্বর/২০১৮ হতে ১৫ মাসের বিল বকেয়া ৬১১৯৮/=টাকা এবং ৩০৯-৫০২১ হিসাবের মিটারে জানুয়ারী/২০২০ হতে তিন মাসের বিল বকেয়া ৩৬৩৮৪/= টাকা। ১৫ মাস বকেয়ার কারণে বারবার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিগত ১০-০২-২০ তারিখে ৩০৯/৫০১০ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ৩০৯-৫০২১ হিসাবের মিটারটি বিগত ২২-০৩-২০ তারিখে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুইটি মিটারে মোট ৯৭,৫৮২/= টাকা বকেয়া রয়েছে।
কিন্তু তিনি বকেয়া পরিশোধ না করে সার্ভিস তার ছিদ্র করে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ৪টি দোকানঘর ও দোকানের সাথে সংযুক্ত গ্যারেজে ৫/৬টি অটোরিকসা চার্জ করে আসিতেছে যা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী অবৈধ।
অদ্য ০৩-০৭-২০২০ তারিখে লাইন পরিদর্শন কালীন সময়ে সার্ভিস তার ছিদ্র করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার বিষয়টি পরিদর্শন টিমের কাছে দৃষ্টিগোচর হয়।
পরবর্তীতে আলী আফজাল খান শিমুলের উপস্থিতিতে অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। তিনি সার্ভিস তার ছিদ্র করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
আলী আফজাল খান(শিমুল) নভেম্বর/২০১৮ হতে দীর্ঘ ১৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৯৭,৫৮২/= টাকা বকেয়া থাকার এবং অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার বিষয়টি গোপন করে ফেসবুকে অসত্য তথ্য প্রচার করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আফজাল খান শিমুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মিটারটি যখন খুইলা নিয়া যায় তখন আমি ওদেরকে বলেছিলাম আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে হবে। ওরা বলছে কোন সুযোগ নাই, মিটার কেটে নিয়ে যায় এই কথা বলে। পল্লী বিদ্যুৎ এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেছেন কালকে গিয়ে বিলগুলো হিসাব করে দিয়ে দিতে। তবে আমি একটা মিটারের যত টাকা হয় তত টাকা দিয়ে একটা মিটার লাগানোর চেষ্টা করবো। বাকিটা পরে দেখব।
এ বিষয়ে আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশার বলেন, অবৈধভাবে চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার সময় আজকে তাকে ধরেছি। কালকে আমরা তাকে নোটিশ দেব,থানায় চিঠি দেব। অফিশিয়ালি ভাবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে তো উল্টাপাল্টা অনেক মিথ্যা অপপ্রচার ফেসবুকে করতেছে। ফেসবুকে বিভিন্ন সময় সে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমাকে এখান থেকে বদলি করবে বলতেছে সারাক্ষণ। এর আগে দুই তিনজন লোক নিয়ে আমার অফিসে এসেছিল। আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ভয় দেখিয়ে মারধর করার হুমকি দিয়েছিল। সে ফেইসবুকে অযৌক্তিকভাবে মিথ্যা কথা বলে এবং দুর্ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে।