করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারনে সাধারণ মানুষ কর্মহীন। তার উপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। আবার বিল সংশোধন করতে অফিসে গিয়ে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।বিল পরিশোধের পরও এক মাসের বিদ্যুৎ বিলে তিন মাসের বিল। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিল পূর্বের মাসগুলোর তুলনায় চার পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে যেন গ্রাহকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তারা খোঁজে পাচ্ছে না সমাধানও। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আখাউড়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আবুল বাশার এর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরজমিনে আজ বুধবার(৩জুন) সকাল ১১ টায় আখাউড়া পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় সাধারণ গ্রাহকের ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া। এসময় কথা হয় পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের শিপন আহমেদের সাথে। তিনি তার হাতে থাকা তিনটি বিলের পেপার দেখিয়ে বলেন যে, আমার মিটারের রিডিং ও বিলের পেপারের সাথে কোন মিল নেই। তাই আমি আমার বিলটি সংশোধনের জন্য নিয়ে আসছি। আমি সচেতন বলে দেখে ঠিক করার জন্য নিয়ে আসছি। কিন্ত অনেক সাধারণ মানুষ আছে যারা এত কিছু বুঝে না। তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এমন হয়রানি শিকার আরেক জনের সাথে কথা হয়। তিনি পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কলেজ পাড়ার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন টেইলার্সের সাথে। তিনি জানান, আমার বাড়ি এবং দোকানের এমন ভূতুরে বিল আসছে যা দেখার পর আমি হতাশ হয়েছি আজকে নিয়ে তিন দিন এসে আমি আমার বিলটি আংশিক ঠিক করেছি। এমন হয়রানি আসলে মেনে নেয়ার মত না।সাংবাদিকদের দেখে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা ৭০-৮০জন গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে আসেন। সবার একি অভিযোগ বিল নিয়ে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ম আখাউড়া পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশার বলে,ন এই মাসের বিদ্যুৎ বিলে কিছু সমস্যা হয়েছে। রমজান মাস থাকায় গ্রাহকরা প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে।রমজানে রাতে তারাবীর নামাজ,সেহেরী খাওয়া,করোনার লকডাউনে বাসায় অবস্থান করার কারনে আগের মাসের চেয়ে অনেকগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে।এটা অনেক গ্রাহকরা বুঝতে পারছেনা।তাছাড়া করোনায় লকডাউনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা গিয়ে মিটার রিডিং আনতে না পারায় আনুমানিকভাবে গড় বিল করা হয়েছে।আমরা যাদের বিলে সমস্যা হয়েছে তাদের বিল সংশোধন করে দিতেছি। তা নিয়ে গ্রাহকদের কোন সমস্যা হবে না।
অতিরিক্ত লোডশেডিং এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আখাউড়ায় বিদ্যুৎ এর কোনো ঘাটতি নাই। যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে লোডশেডিং হয়।