শেখ তোফায়েল(স্টাফ রিপোর্টার)- হতাশা কম বেশি সবার জীবনেই আসে। সেটি প্রায় মোট জনগোষ্ঠীর ৪৪% শতাংশ মানুষ কোনো না কোন ভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে তা নির্ভর করে আমাদের দৈনিন্দন জীবনের চাওয়া পাওয়ার উপর।
কেউ চাকরি না পেয়ে হতাশায়, কেউ ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ায় হতাশ, কেউ তাঁর স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারায় হতাশায়, কেউ বিদেশ যেতে না পারায় হতাশায়, কেউ বা তাঁর জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার হতাশায়, আবার কারও জীবনে হঠাৎ করে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসার হতাশা কাজ করে। এসব বিষয়ে যখনই কিছু ভাবতে যাই, তখনই মনে হয় আমি নিজেও এই হতাশার বাইরে নয়। আজ হয়তো জানি কীভাবে হতাশার মধ্যেও কিভাবে আশার আলো দেখা যায়।
কোনও ইচ্ছেপূরণ না হলে বা কাজের আশানুরূপ ফল না পেলে যে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয় তা হলো হতাশা। লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলে হাল ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা-ই হতাশার লক্ষণ। হতাশা একটি মানবিক অনুভূতি যার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি কখনও মানসিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
জীবনে সফল হতে গিয়ে যখন সফল ব্যাক্তিদের জীবনী নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম আশ্চর্যজনক ভাবে দেখতে পারলাম তারা প্রত্যেকেই কোন না কোনো ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই অবস্থানে এসেছে। সেখান থেকে আমার মধ্যেও আশার আলো সঞ্চার হয়। পৃথিবীতে যেমন দিনের পর রাত আসে তেমনে হতাশাগ্রস্ত মানুষেদের জীবনেও একসময় আশার আলো দেখা দিবে। যারা এটি বিশ্বাস করে ধৈর্য্য ধারন করতে পারেন তাদের জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
যখনই দেখি কোনো মানুষ হতাশায় ভুগছেন, তাঁর প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। কারণ তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন। আর চেষ্টা করেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারায় আজ তিনি হতাশাগ্রস্ত। তবে এটাও বিশ্বাস করি সবশেষে সে তার চেষ্টায় সফলকাম হবেই।
হতাশাগ্রস্তদের জন্য
১. যখন আপনি কোন ব্যাক্তি, বস্তু কিংবা ঘটনার সম্মুখীন হয়ে হতাশাগ্রস্ত হবেন তখন আপনার করণীয় হবে তা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সেটা নিয়ে চিন্তা করে। কেননা আপনি কেন হতাশাগ্রস্ত হয়েছেন তার কারণ খুজতে গেলে হাতাশা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
২. সবসময় আমাদের চিন্তা করা প্রয়োজন যে আমরা কি পেয়েছি বা পাবো কিন্তু কখনো এটা চিন্তা করা উচিত নয় যে আমরা কি হারিয়েছে কারণ এতে আমাদের হতাশাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।
৩. আপনি কোন একটা কাজ করছেন কিন্তু যখনই কোন সমস্যায় পরলেন আপনি হতাশ কিন্তু হতাশা যেন আমাদের চেষ্টাকে থামাতে না পারে, কারণ আপনার চেষ্টায় একটা না একটা পথে খোলা রয়েছে।
৪. ব্যাক্তিগত কিংবা অন্যান্য পারস্পরিক কোন কারণে নিজের মধ্যে হতাশা কাজ করলে ব্যাস্ত থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ব্যাস্ততা মনের মধ্যে হতাশাকে স্থান দেয় না।
৫. সবসময় নিজের উপর আস্থা ও বিশ্বাস যে কেন কাজের ক্ষেত্রে খুব ভালো কিছু আশা করা যায়। তাই কাজের পূর্বে আমাদের নিজেদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।