ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট পণ্য নিতে শুরু করছে ভারত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার সময় ট্রানজিটের প্রথম চালানের মোট ১০৩ মেট্রিক টন রড ও ডাল নিয়ে ৪টি ট্রেইলর চট্টগ্রাম নৌবন্দর হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করে।
আগরতলা স্থলবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক প্রথম ট্রানজিট চালানটি গ্রহণ করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
স্থলবন্দরের নো ম্যানসল্যান্ডে আগরতলা কাস্টমস এর সুপারিন্টেনডেন্ট জয়দীপ মুখার্জি সাংবাদিকদের বলেন,এ ট্রানজিট চালানের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।পরীক্ষামূলক এই ট্রানজিট চালানের জন্য আগেই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
জানা যায়,ডালগুলো যাবে আসাম রাজ্যের গৌহাটির ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এবং রড যাবে আগরতলা শহরের এমএস করপোরেশন লিমিটেডের কাছে।
পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হিসেবে চারটি কনটেইনারে করে ৫৩ দশমিক ২৫ মেট্রিকটন রড ও ৪৯ দশমিক ৮৩ মেট্রিকটন ডাল নিয়ে গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় ‘সেঁজুতি’ নামের একটি জাহাজ। এ জাহাজটি গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে। বাংলাদেশের ‘ম্যাংগো লাইন লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্যগুলো পাঠিয়েছে ‘ডার্সেল লজিস্টিক লিমিটেড’ নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠান। আর এসব পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে ছিল কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক প্রথম চালানের পণ্য আগরতলায় পৌঁছেছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বন্দরে পণ্যগুলো গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের ম্যাংগু লাইনের ঢাকার সিনিয়র ম্যানেজার সোহেল খান জানায়, পণ্যগুলো আগরতলায় পৌঁছাতে পেরে আমরাও আনন্দিত। এর মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো উন্নতি হবে।এতে করে চট্টগ্রাম নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দরে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলসহ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেনা বলেও জানান তিনি।