আখাউড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে খুশিতে কাঁদলেন ও কাঁদালেন

মো.জুয়েল মিয়া,আখাউড়াঃ
স্থানীয় একটি মাদরাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সোমাইয়া জাহান রুশমী(১০)। পিতা জামশেদ আলম(৩৫) পেশায় ফ্লেক্সিলোডের দোকানদার।তিন বোন নিয়ে জন্মের পর থেকেই অন্যের বাড়িতে অজস্র অপমান আর লাঞ্ছনা মুখ বুঝে সহ্য করে শৈশব কাটিয়েছে সে।নিজের চোখে দেখেছে বাস্তবতার নির্মমতা।এই ছোট্ট বয়সে হয়তো কখনো ভাবতে ও পারেন নি এতো সুন্দর একটি বাড়ি উপহার পাবেন।এসময় সাংবাদিকদের সাথে মনের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলো সে।তার কান্নায় উপস্থিত সবাই অশ্রুসিক্ত হলেন। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে কান্নার সময়।

উল্লেখ্য যে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৫ টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘর পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন,প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে.এম. শাখাওয়াত মুন।আজ শুক্রবার সকালে মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে এসে
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব জনাব কে. এম. শাখাওয়াত মুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাকর্মজজ্ঞ হাতে নিয়েছেন।এতবড় কর্মজজ্ঞ ইতিহাসে কোথাও আছে বলে আমার জানা নাই। গৃহহীনদের এই গৃহ হস্তান্তর করবেন তিনি।যা মানবতার একটি নতুন ইতিহাস হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কথাটা বার বার বলেন যে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই আমরা এগিয়ে চলেছি।

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জনাব হায়াত -উদ-দৌলা খাঁন জানান,যারা প্রান্তীক জনগোষ্ঠী তারা নিজের বাড়ি ও জায়গার মালিকানা পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা বার বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া করছে।তারা নতুন স্বপ্নের জাল বুনছেন তাদের জীবন নিয়ে। তাদের জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তুলার সুযোগ তারা পেয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নূর-এ আলম বলেন, আমরা ৪৫টি পরিবারকে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বাঁছাই করেছি। যাদের মধ্যে অধিকাংশ হলো ভিক্ষুক, দিনমজুর, আশ্রিতা,গৃহকর্মী, রিক্সা চালক ও ভ্যানচালক। ২শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর নির্মাণের জন্য মোট ৪৫টি পরিবারের জন্য ১একর ৮০শতক জায়গা নির্বাচন করেছি। ৩টি ব্লকের একটিতে রাখা হয়েছে খেলার মাঠ ও একটি হল রুম। যা এই পল্লীতে বসবাসকারী ৪৫টি বাড়ির লোকজন ব্যবহার করবে। দ্বিতীয় ব্লকে খোলা জায়গাসহ কয়েকটি দোকান ঘর। যা এখানে বসবাসকারীরা বাজার হিসেবে ব্যবহার করবে।তাছাড়া তৃতীয় ব্লকে শিশুদের বিনোদনের জন্য করা হচ্ছে একটি শিশু পার্ক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রসুল আহমেদ নিজামী,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া,মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে